হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পার্লামেন্টে মানবাধিকার কমিটির প্রধান জাহরা আল-হিয়ান কারবালার আল-জাহরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। ‘গাজা ও ফিলিস্তিনের শিশু ও নারী’ শিরোনামে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে ইসলামী দেশগুলোর সক্রিয় নারীরা অংশ নেন। এই সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে জাহরা আল-হিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক নথি অনুযায়ী, গাজার জনগণের ওপর ইহুদিবাদী সরকারের নৃশংসতা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানবাধিকারসহ অনেক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এই দুর্বল গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পার্লামেন্টে মানবাধিকার কমিটির প্রধান স্পষ্টভাবে বলেছেন যে জেনেভার চতুর্থ কনভেনশনের ধারা নং চৌদ্দ, আঠারো, সাতাশ, তেত্রিশ ছাড়াও যুদ্ধবাজ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। নিরাপদ অঞ্চল, হাসপাতালে আক্রমণ করা, ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদাকে সম্মান করা, বিশেষ করে নারীদের নির্যাতন না করা, নিরপরাধ লোকদের শাস্তি না দেওয়া, মানুষকে একক বা সম্মিলিতভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর না করা। এবং মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করা মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার তের নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
জাহরা আল-হিয়ান আরও বলেন, শিশু অধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ নং ২, ৪ এবং ৬-এ শিশুদের বিশেষ সহায়তা, তাদের সম্মিলিত সুরক্ষা এবং তাদের খাদ্য, বাসস্থান, বিনোদন এবং স্বাস্থ্যবিধি সুবিধা প্রদানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এত কিছুর পরও ইহুদিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক নথি অনুযায়ী মানবিক মূল্যবোধ ও মর্যাদার পরিপন্থী।